👉 ম্যালওয়্যার কী? ম্যালওয়্যার কিভাবে কাজ করে?

  কম্পিউটারে কোন কাজ করতে হলে সেটি প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয় । সাধারণভাবে কম্পিউটারে দুই ধরনের প্রোগ্রাম থাকে । একটি হলো সিস্...

 




কম্পিউটারে কোন কাজ করতে হলে সেটি প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয় । সাধারণভাবে কম্পিউটারে দুই ধরনের প্রোগ্রাম থাকে । একটি হলো সিস্টেম সফটওয়্যার এবং অপরটি এপ্লিকেশন সফটওয়্যার।
সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটারের হার্ডওয়ার সমূহকে যথাযথভাবে ব্যবহারের পরিবেশ নিশ্চিত রাখে অন্যদিকে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার কোন বিশেষ কাজ সম্পন্ন করে। যেসকল সফটওয়্যারের সঙ্গে আমাদের পরিচয় বেশি ; যেমন - অফিস ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার, ডাটাবেজ সফটওয়্যার, ব্রাউজার ইত্যাদি। কোন সফটওয়্যার কাজ করে তখন এর কিছু অংশ কম্পিউটারের প্রধান মেমোরি তে অবস্থান নেয় এবং বাকি অংশগুলো অপারেটিং সিস্টেমের সহায়তায় অন্য কার্যাবলী সম্পন্ন করে।
আবার এমন প্রোগ্রামিং কোড লেখা সম্ভব যে, সকল সফটওয়্যার এর কাজে বিঘ্ন ঘটাতে পারে । বিভিন্ন হার্ডওয়ারের সফটওয়্যার ইন্টারফেস বিনষ্ট করতে পারে। এমনকি সম্পূর্ণ কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে ফেলতে পারে। যেহেতু এ ধরনের প্রোগ্রামিং কোড বা প্রোগ্রাম গুচ্ছ কম্পিউটারের জন্য ক্ষতিকর তাই এ ধরনের সফটওয়্যার কে বলা যেতে পারে ক্ষতিকারক সফটওয়্যার বা মেলিসিয়াস সফটওয়্যার আর একেই বলে ম্যালওয়্যার।
🤜 ম্যালওয়্যার কি কি ক্ষতি করে?
ম্যালওয়ার এক ধরনের সফটওয়্যার যা কিনা অন্য সফটওয়্যারকে কাঙ্ক্ষিত কর্মসম্পাদন এ বাধার সৃষ্টি করে । আর এ বাধা অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার বা এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর জন্যই হতে পারে শুধু যে বাধার সৃষ্টি করে তা নয় । কোন কোন ম্যালওয়ার ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে রক্ষিত তথ্য চুরি করে। কোন কোন সময় ব্যবহারকারীর অজান্তে তার কম্পিউটার সিস্টেমের প্রবেশাধিকার লাভ করে । ম্যালওয়্যার প্রোগ্রামিং কোড , স্ক্রিপ্ট সক্রিয়তার কিংবা অন্যান্য সফটওয়্যার এর মতো প্রকাশিত হতে পারে। অন্য ভাবে বলা যায় কম্পিউটারে অনুপ্রবেশকারী বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার এর সাধারণ নামেই হল ম্যালওয়ার।
🤜 ম্যালওয়্যার এর প্রকারভেদ 🥤
কম্পিউটার ভাইরাস, ট্রোজান হর্সেস, স্পাইওয়্যার, ব্যাকডোর্স, ব্লটওয়্যার, স্পাই ওয়্যার, এডওয়্যার, র্যানসমওয়্যার, প্রভৃতি ম্যালওয়্যারের অন্তর্ভুক্ত । অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে যে ক্ষতিকর সফটওয়্যার এর মধ্যে ট্রোজান হর্স, ওয়ার্ম এর সংখ্যা ভাইরাস এর চেয়ে বেশি । বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাইবার আইনের মাধ্যমে উন্নয়ন ও প্রকাশ নিষিদ্ধ হলেও সারা বিশ্বের মধ্যে অসংখ্য ম্যালওয়্যার তৈরি হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত হচ্ছে।
🤜 ম্যালওয়্যার কিভাবে ছড়িয়ে পড়ে?
যে সকল কম্পিউটার সিস্টেমে সফটওয়্যার নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি থাকে সেসব ক্ষেত্রে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। কেবল নিরাপত্তা ত্রুটি নয় ডিজাইনেবল থাকলেও সফটওয়্যারটি অকার্যকর করার জন্য ম্যালওয়্যার তৈরি করা সম্ভব হয়। বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ম্যালওয়্যারের সংখ্যা অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম এর তুলনায় বেশি। এর একটি কারণ উইন্ডোজ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি । অপারেটিং সিস্টেম এর ভেতরর খবর কেউ জানেনা । কাজে কোন ভুল বা গলোদ কেউ বের করতে পারলে সে এটিকে ব্যবহার করে ম্যালওয়্যার তৈরি করতে পারে। ইন্টারনেটের বিকাশের আগে ম্যালওয়্যারের সংখ্যা খুবই কম ছিল। যখন থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে, তখন থেকেই ম্যালওয়্যারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
🤜 যে সকল ভুলের কারনে আমাদের স্মার্ট ডিভাইসে ম্যালওয়্যারের ঝুকি থেকে যায়ঃ
১. সফটওয়্যার আপডেট ও সিস্টেম আপডেট অবহেলা করাঃ প্রতিটা সফটওয়্যার (উইন্ডোজ, ম্যাক ওএস বা লিনাক্স ডিস্ট্রো সমুহ) এ কিছু দুর্বলতা (যা বাগ নামে পরিচিত) থাকে যার কারনে আপনার ডিভাইসে হ্যাকারদের আক্রমণ করা সহজ হয়। সেই সফটওয়্যারের ডেভেলপার গণ সিকিউরিটি আপডেটের মাধ্যমে সেই দুর্বলতা বা ত্রুটি সমুহ ঠিক করার চেষ্টা করেন। আপনার সফটওয়্যার আপডেট বা সিস্টেম আপডেট না করার কারনে আপনার ডিভাইসের ত্রুটি থেকেই যায়।
২. অপরিচিত কারো দেওয়া বা অপরিচিত কোন উৎস হতে পাওয়া ফাইল ওপেন করাঃ আপনাকে হয়ত কোন পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তি ফাইল দিলো এবং আপনি তা ওপেন করলেন। বা কোথাও থেকে আপনি কোন অফারের লিংক পেয়ে সেটিতে ক্লিক করলেন। এরকমও হতে পারে সেই সকল ফাইল বা লিংক এমন ভাবে তৈরী করা হয়েছে যা আপনার ডিভাইসে কোন ম্যালওয়্যার ইন্সটল করে দিতে পারে।
৩. সন্দেহজনক বা ক্র্যাক সফটওয়্যার ব্যবহার করাঃ এই ক্যাটাগরীতে থাকতে পারে ফ্রি ভিডিও প্লেয়ার, কোনো কমার্শিয়াল সফটওয়্যারের ক্র্যাক ভার্শন, সেই সফটওয়্যার গুলো ডাউনলোড স্পিড বৃদ্ধি করে দাবি করতে পারে, এবং সেই সাথে আপনার সিস্টেমের পারফরমেন্স বৃদ্ধি করবে বলে দাবি করতে পারে বা অন্যান্য সন্দেহপূর্ণ দাবি করতে পারে।
আপনি যখনই ইন্টারনেট থেকে কোন কিছু ফ্রি তে ডাউনলোড করার চেষ্টা করেন তখনই একটা সম্ভাবনা থেকে যায় আপনার কম্পিউটারের ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার। এছাড়া আনঅফিসিয়াল সোর্স থেকে উইন্ডোজ আইসএও (ISO) বা লিনাক্সের কোন ডিস্ট্রিবিউশনের আইএসও বা ম্যাকওএস এর ডিএমজি ইমেজ বা কোন কাস্টম রম বা কোন ফার্মওয়্যার ফাইল ডাউনলোড করে ব্যবহার করার কারনে সিস্টেমে ম্যালওয়্যার চলে আসতে পারে।
অনেক সময় সার্ভিস সেন্টারে কম্পিউটারের সফটওয়্যার সার্ভিসের সময় ব্লটওয়্যার / ম্যালওয়্যার ইন্সটল করে দিতে পারে। মনে রাখবেন, পৃথিবীতে কোন কিছুই ফ্রি তে নয়। প্রতিটা জিনিসের একটি মুল্য রয়েছে। সেই মুল্য যেন আপনার প্রাইভেসির বিনিময়ে না হয়।
৪. আপনার স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেও একই শর্ত প্রযোজ্য। কোন থার্ডপার্টির ওয়েবসাইটে কোন প্রো-এপিকে ফ্রি তে পেতে পারেন। সেই এপিকের সাথে আপনার ফোনে ম্যালওয়্যার বা ব্লোটওয়্যার বা অ্যাডওয়্যার খুব সহজেই চলে আসতে পারে।
🤜 ম্যালওয়্যার এর প্রকারভেদ 🥤
🥤 এডওয়্যার (Adware)
আমরা এখন যে ম্যালওয়্যারটি নিয়ে আলোচনা করবো এটা বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বিরক্তিকর একটি থ্রেট হিসাবে পরিচিত। Adware হলো একঝাঁক অ্যাপ্লিকেশন অথবা সফটওয়্যারের সমষ্টি যেটা আপনার অজান্তে আপনার কম্পিউটারে চলে আসবে। সাধারনত ডাউনলোড করার সময় আমাদের মনের অজান্তে কিংবা চোখের ত্রুটির কারনে একটা ডাউনলোডের পরিবর্তে অন্যটা ডাউনলোড করে ফেলি। এর কারন অনেক সময় দেখা যায় এডওয়্যার ডাউনলোডের জন্য আগে থেকেই এডওয়্যার ডাউনলোড বাটন চেক করা থাকে। এবং উক্ত ডাউনলোড পেইজে একের অধিক ডাউনলোড বাটন থাকে। আপনি মনের ভুলে কোন একটা ক্লিক করে ফেললেই আপনার পিসিতে এডওয়্যার ডাউনলোড হওয়া শুরু করবে।
তবে এডওয়্যার ইনফেকশন যে শুধুমাত্র আমাদের নিজেদের ভুলের জন্যই হবে এমনটা নয়। কারন অনেক ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যখন তাদের ডিভাইস গুলোতে এডওয়্যার (যেমন ব্রাউজার হ্যাক) দিয়ে দেয় তখন আর কিছুই করার থাকেনা। লেনেভো এবং Superfish যদি নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটায় তাহলে আমাদের সেখানে কি’বা করার থাকতে পারে?
🥤 ব্লটওয়্যার (Bloatware)
সেই সকল অতিরিক্ত সফটওয়্যার যা আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আপনার কম্পিউটার বা স্মার্টফোন বা স্মার্ট ডিভাইসে পূর্বেই ইন্সটল করা থাকে। উদাহরণ স্বরুপ, আপনি uTorrent ইন্সটল করতে চান। সেই জন্য আপনি এটার সেটাপ ফাইল ডাউনলোড করে চোখ বন্ধ করে নেক্সট নেক্সট ক্লিক করে ইন্সটল করে ফেললেন। তারপর দেখলেন আপনার কম্পিউটারে ওপেরা ব্রাউজার ও এভাস্ট সিকিউরিটি সেন্টার ইন্সটল হয়ে গেছে!
অবশ্যই অনেকের কাছে ওপেরা বা এভাস্ট প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার হতে পারে। তবে আসল বিষয় হলো, এই সফটওয়্যার সমুহ আপনি ইন্সটল করতে চেয়েছিলেন না। এই সফটওয়্যার গুলোর কারনে আপনার কম্পিউটারে অরিতিক্ত কিছু রিসোর্স ব্যবহৃত হবে।
যদি আপনার কম্পিউটারে অতিরিক্ত ফ্রি রিসোর্স পড়ে থাকে তাহলে একবার চিন্তা করুন সেই সকল পুরাতন কম্পিউটারের বিষয়ে। যেগুলোতে সীমিত আকারের প্রসেসিং ক্ষমতা থাকে। তার ভেতর অতিরিক্ত সফটওয়্যার সমুহ কি ঝামেলা তৈরী করতে পারে?
এখন অবশ্য কম্পিউটার বা মোবাইল কেনার পর থেকেই সেই অপারেটিং সিস্টেমে বা সেই এন্ড্রয়েড ডিভাইসের কাস্টম রমে ডজন খানেক ব্লটওয়্যার দেওয়াই থাকে। অনেক অ্যাপস আপনি চাইলেও রিমুভ করতে পারেন না।
🥤 ট্রোজান এবং ব্যাকডোর্স (Trojans and Backdoors)
ট্রোজান ম্যালওয়্যারের নামকরণ করা হয়েছে ট্রোজান হর্স থেকে। ট্রোজান হর্স সম্পর্কে যারা জানেন না তাদের জন্য ট্রোজান হর্স বিষয়ে সামান্য কিছু ধারনা দেওয়া হয়েছে। আপনারা হয়তো ঐতিহাসিক ট্রয় এবং ট্রোজানদের যুদ্ধের কাহিনী জানেন। ট্রোজানরা যখন ট্রয় নগরী আক্রমন করতে আসে তখন ট্রয় নগরীর চারপাশের প্রাচীর ভেদ করে ট্রোজানরা ভেতরে প্রবেশ করতে পারছিলো না। পরে তারা বুদ্ধি করে নিজেদের যুদ্ধ জাহাজগুলোকে লুকিয়ে রেখে সমুদ্রতীরে বিশাল এক কাঠের ঘোড়া তৈরী করে। যার ভেতরে ট্রোজান বীরগণ লুকিয়ে ছিলেন।
ট্রয় নগরীর রাজা যখন বুঝতে পারলেন যে ট্রোজানরা পালিয়ে গেছে এবং তিনি সমুদ্রতীরে একটি কাঠের বিশাল আকৃতির ঘোড়া দেখতে পেলেন। তিনি সেটাকে দেবতার আশির্বাদ ভেবে ট্রয় নগরীর ভেতরে নিয়ে আসলেন। তারপর রাতের অন্ধকারে ট্রোজান সৈন্যরা ঘোড়া ভেঙ্গে বের হয়ে আসলো এবং দুর্গের দরজা ভেতর থেকে খুলে দিয়ে ট্রোজান সেনাবাহিনীল ভেতরের ঢুকার রাস্তা বের করে দেয়। এভাবেই ট্রয় নগরী বায়রের শক্তিশালী প্রাচীর থাকা সত্ত্বেও অরক্ষিত অবস্থায় ধ্বংস হয়ে যায়। ঐতিহাসিক ট্রোজান হর্স | ট্রয় নগরী যার মাধ্যমে ধ্বংস হয়েছিলো |
ট্রোজান ভাইরাসের সাথে ট্রোজান হর্সের এই ইতিহাস ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। কারন ট্রোজান ভাইরাস ঠিক এভাবেই কাজ করে। এটি সন্তর্পনে আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করে এবং তারপর আপনার অজান্তে এটি সার্ভারের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে। যখন সফল হয় তখন আপনার পিসির নিয়ন্ত্রনের জন্য ব্যকডোর ওপেন হয়ে যায়। তারমানে হ্যাকাররা দুরে থেকেই আপনার পিসি নিয়ন্ত্রন করতে পারে এবং আপনার যাবতীয় গোপন জিনিস তারা হাতিয়ে নেয়।
তবে আক্রান্ত হওয়ার পরে আপনি যদি বুঝতে পারেন যে আপনার পিসি ট্রোজান ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে তাহলে সব চেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি যদি ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ রাখেন তাহলে হ্যাকাররা কোন ভাবেই আপনার পিসি নিয়ন্ত্রন করতে বা তথ্য চুরি করতে পারবে না। কানেকশন বন্ধ রেখে আপনি খুব সহজেই ট্রোজান রিমুভার দিয়ে ট্রোজান ভাইরাস অপসারন করতে পারবেন।
🥤 স্পাইওয়্যার (Spyware)
স্পাইওয়্যার নামটি থেকেই তার কাজ সম্পর্কে আংশিক ধারনা পাওয়া যায়। যদিও অধিকাংশ স্পাইওয়্যার তুলনামুলকভাবে ক্ষতিকর হয়না, তবুও কিছু কিছু স্পাইওয়্যার খুব মারাত্বক সিকিউরিটি রিস্কের কারন হয়ে দাড়ায়। স্পাইওয়্যার মুলত আপনার ইন্টারনেট সার্ফিং এর উপর নজরদারী করে এবং অ্যাড রিলেটেড ব্যাপারগুলোর সাথে সম্পৃক্ত থাকে। স্পাইওয়্যার মাঝে মাঝে ট্রোজান হর্সের চেয়েও ক্ষতিকর হয়ে যায়, যখন এটা আপনার কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ছবি, ইমেইল, ব্যাংক ইনফোরমেশন সার্ভার কিংবা অন্য ব্যবহারকারীর কাছে পাঠিয়ে দেয়।
স্পাইওয়্যার সাধারনত কম্পিউটারে সফটওয়্যার ডাউনলোডের সময়, এডনস ডাউনলোডের সময় এবং অধিকাংশ ফ্রিওয়্যার কিংবা শেয়ার ওয়্যারের সাথে আপনার পিসিতে চলে আসে। যদিও স্পাইওয়্যার এড সার্ফিং এর কাজেই বেশি ব্যবহৃত হয় তবুও নিজেকে নিরাপদ রাখতে একটু সাবধান আপনাকে হতেই হবে।
🥤 স্কয়ারওয়্যার (Scareware) এবং র্যানসমওয়্যার (Ransomware):
যদিও স্কয়ারওয়্যার (Scareware) এবং র্যানসমওয়্যার (Ransomware) এর কাজের পদ্ধতি সম্পূর্ণ আলাদা তবে তাদের চুড়ান্ত উদ্দেশ্য দুজনেরই এক। তারা উভয়েই তাদের অপকৌশল ব্যবহার করে আপনার টাকা তাদের পেছনে ব্যয় করতে বাধ্য করবে।
স্কয়ারওয়্যার (Scareware) হলো এমন একটা প্রোগ্রাম যেটা আপনার পিসিতে নেট সার্ফিং এর সময় আপনার অজান্তে ইনস্টল হবে এবং ম্যালওয়্যার এলার্ট দিয়ে বলবে যে আপনি মারাত্বকভাবে ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত এবং সেগুলো রিমুভ করার জন্য আপনার সফটওয়্যারটির ফুল ভার্সন কিনতে হবে। আমি নিজেও এই সমস্যায় মাঝে মাঝে পড়ি, আপনাদের অবস্থা টিউমেন্টে জানাবেন।
্যানসমওয়্যার (Ransomware) একটু ভিন্ন ভাবে কাজ করে। এটি আপনার পিসির গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোকে কিংবা সমগ্র পিসিকে বায়রে থেকে লক করে ফেলে এবং আনলক করার জন্য আপনার কাছ থেকে অর্থ দাবি করে। যদিও এটা রিমুভ করা খুব বেশি সমস্যার না তবে যারা নতুন ব্যবহারকারী কিংবা খুব বেশি অভিজ্ঞ না তাদের জন্য এটি খুব দুঃচিন্তার কারন হয়ে দাড়ায়।
🥤 ওয়ার্ম (Worms)
ওয়ার্ম (Worms) হলো ম্যালওয়্যার গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী। ওয়ার্ম (Worms) দ্বারা আক্রান্ত কোন সিস্টেম থেকে যদি কোন ফাইল ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কম্পিউটারে স্থানান্তর করা হয় তাহলে সেই কম্পিউটারের পাশাপাশি তার নেটওয়ার্ক সিস্টেমেও সিকিউরিটি ক্রুটি সৃষ্টি হয়। যার ফলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সমগ্র নেটওয়ার্ক ওয়ার্ম (Worms) এর আওতায় চলে আসে এবং এর দ্বারা যুক্ত কম্পিউটারগুলো একই ম্যালওয়্যা দ্বারা আক্রান্ত হয়ে।
ওয়ার্ম (Worms) থেকে মুক্তি পেতে হলে ওয়ার্ম দ্বারা আক্রান্ত সিস্টেমকে আগে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। তাহলেই ওয়ার্ম (Worms) নতুন ভাবে কাউকে আক্রমন করতে পারবে না। অনলাইন ভাইরাস সম্পর্কে নিজে সচেতন থাকুন এবং অপরকেও সচেতন করুন।
-Md Ashikur Rahman ( Admin ) 🐸

COMMENTS

Name

অজানা সব খবর,1,এডোবি আফটার ইফেক্টস,2,এডোবি ফটোশপ,1,গেজেট রিভিউ,3,চাকুরি প্রস্তুতি,1,টিউটোরিয়াল,8,টিপস ও ট্রিক্স,4,টেক নিউজ,27,বনাম (vs) ভিডিও,5,শিক্ষাঙ্গন,3,
ltr
item
Ashikur 360: 👉 ম্যালওয়্যার কী? ম্যালওয়্যার কিভাবে কাজ করে?
👉 ম্যালওয়্যার কী? ম্যালওয়্যার কিভাবে কাজ করে?
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhSjCfa_AIKYRRKKS4cBtQzB4Maqn2UmnvVQrz3UXBDw-uV6x4m3EnSOs38xDWztwY85paAuQDT2Ge88MLwdq6j6mn0jiNrWAQoJs_wkT0LnuMb0W4oFR9eQnk8DUf8iXJyWRcPQif-8aQc/
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhSjCfa_AIKYRRKKS4cBtQzB4Maqn2UmnvVQrz3UXBDw-uV6x4m3EnSOs38xDWztwY85paAuQDT2Ge88MLwdq6j6mn0jiNrWAQoJs_wkT0LnuMb0W4oFR9eQnk8DUf8iXJyWRcPQif-8aQc/s72-c/
Ashikur 360
https://ashikur360bd.blogspot.com/2021/09/blog-post.html
https://ashikur360bd.blogspot.com/
https://ashikur360bd.blogspot.com/
https://ashikur360bd.blogspot.com/2021/09/blog-post.html
true
2717511016648409709
UTF-8
Loaded All Posts Not found any posts VIEW ALL Readmore Reply Cancel reply Delete By Home PAGES POSTS View All RECOMMENDED FOR YOU LABEL ARCHIVE SEARCH ALL POSTS Not found any post match with your request Back Home Sunday Monday Tuesday Wednesday Thursday Friday Saturday Sun Mon Tue Wed Thu Fri Sat January February March April May June July August September October November December Jan Feb Mar Apr May Jun Jul Aug Sep Oct Nov Dec just now 1 minute ago $$1$$ minutes ago 1 hour ago $$1$$ hours ago Yesterday $$1$$ days ago $$1$$ weeks ago more than 5 weeks ago Followers Follow THIS PREMIUM CONTENT IS LOCKED STEP 1: Share to a social network STEP 2: Click the link on your social network Copy All Code Select All Code All codes were copied to your clipboard Can not copy the codes / texts, please press [CTRL]+[C] (or CMD+C with Mac) to copy Table of Content